তৈরিকৃত খাদ্য ৩ প্রকার
১. ম্যাশ খাদ্য ।
২. পিলেট খাদ্য।
৩. ক্রাম্বল খাদ্য ।
(ক) ম্যাশ খাদ্য:
খাদ্যের সমস্ত উপকরণ গুড়া করে একত্রে মিশানোকে ম্যাশ খাদ্য বলে। হাতে মিশ্রণ করলে প্রথমে পরিমাণে অল্প উপকরণসমূহ একত্রে মিশাতে হবে। ক্রমান্বরে বেশি উপকরণের সাথে একত্র করতে হবে। যন্ত্রের সাহায্যে মিশালে মিশ্রণ সুষম হয়। লিটার পদ্ধতিতে লেয়ার মুরগির জন্য এই খাদ্য বেশি ব্যবহৃত হয়, কারণ এতে মুরগি খাদ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকে। ফলে মুরগির ঠোকরা-ঠুকরী করার সম্ভাবনা কমে। পিলেট খাদ্য দিলে তাড়াতাড়ি খাবার শেষ করে ফেলে, ফলে মুরগি ঠোকরা- ঠুকরী করার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
(খ) পিলেট খাদ্য:
ম্যান খাদ্যকে লোহার জানিযুক্ত शंকনির মধ্য দিয়ে যন্ত্রের সাহায্যে চাপ প্রয়োগ করলে পিলেট তৈরি হয়। পিলেট খাদ্য ব্যবহার করলে খাদ্যের অপচয় কমে ও মুরগি বেশি পছন্দ করে । এরলারের জন্য এ খাদ্য বেশি ব্যবহার করা হয় ।
(গ) ক্রাম্বল খাদ্য :
ম্যাশ খাদ্যের অন্য প্রকৃতি ক্রাম্বল খাদ্য। ক্রাম্বল খাদ্যের দানা পিলেট দানার চেয়ে ছোট। এ খাদ্য ব্যবহারে খাদ্যের অপচয় কম হয়। পিলেটের মতই যন্ত্রের সাহায্যে ক্রাম্বল খাদ্য তৈরি করা হয়। স্টার্টার রেশন হিসেবে এ খাদ্য ব্যবহার করা হয়। বাণিজ্যিক ফিড মিলগুলোতে পিলেট খাদ্য ও ক্রামন খাদ্য তৈরি করা হয়। বড় লেয়ার খামারগুলোতে ডিমপাড়া মুরগির জন্য পিলেট খাদ্য এবং বাচ্চার জন্য ক্রামণ খাদ্য ব্যবহার করা হয়।
অনুসন্ধানমূলক কাজঃ
লেয়ার মুরগির খাদ্য সরবরাহ:
লেয়ার মুরগির খাদ্য সরবরাহ করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়, সরবরাহের পরিমাণ, বয়স অনুযায়ী ওজন, মুরগির জাত ও রং ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করতে হয়, যা নিচে বর্ণনা করা হলো-
(ক) নির্দিষ্ট সময়ে খাদ্য প্রদান:
(খ) বয়স ও ওজন অনুযায়ী খাদ্য প্রদান:
(গ) জাত ও বর্ণ অনুসারে খাদ্য প্রদান:
(ঘ) জাত ও স্ট্রেইন অনুসারে খাদ্য প্রদান:
(ঙ) খাদ্য সরবরাহের জন্য খাবার পাত্রে মুরগির জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা:
বাণিজ্যিক লেয়ারের গড় খাদ্য গ্রহণ (হালকা জাতের ক্ষেত্রে):
জন্ম হতে ৭২ সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতিটি লেয়ার এর ক্রমপুঞ্জিত খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ ৪৮ কেজি ও পানি গ্রহণ ১০০-১৩৫ লিটার। ডিম উৎপাদনকালীন সময় প্রতিটি মুরগি গড়ে দৈনিক ১১০-১২০ গ্রাম খাবার ও ৩০০- ৫০০ মিলি. পানি খেয়ে থাকে।
আরও দেখুন...